প্রকাশিত: Sat, Jun 17, 2023 10:30 PM
আপডেট: Sun, Jun 29, 2025 7:04 AM

ম্যাচ সেরা নাজমুল হোসেন শান্ত

আফগানদের গুড়িয়ে রেকর্ড গড়া টেস্ট জয় বাংলাদেশের

সাঈদুর রহমান: প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকা বাংলাদেশ এভাবে আফগানিস্তানকে গুড়িয়ে দেবে তা হয়তো কারোই ভাবনায় ছিলো না। ২০১৯ সালে যারা চট্টগ্রামের মাঠে বাংলাদেশকে একমাত্র টেস্টে ২২৪ হারিয়ে চার বছর ধরে মুক্তবিহঙ্গের মতো উড়ছিলো, সেই আফগানিস্তানকে মাটিতে নামিয়ে আনলো লাল-সবুজের দেশ। একমাত্র টেস্টে তাদের হারিয়ে দিলো ৫৪৬ রানে। যা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জয়।

এর আগে, ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬৭৫ রানের জয় পায় ইংল্যান্ড এবং ১৯৩৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫৬২ রানে জয় পেয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় রেকর্ডটি ছিলো অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ১৯১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তারা ৫৩০ রানে জিতেছিলো। এবার বাংলাদেশ ৫৪৬ রানে আফগানদের হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার  রেকর্ডটি ভেঙে দিলো। 

ঢাকা টেস্টে মাঠে নামার আগে অনেক স্বপ্ন আর আশার বাণী শুনিয়েছিলেন আফগানিস্তান দলের কোচ জনাথন ট্রট এবং আধিনায়ক হাশমতল্লাহ শাহীদি। তবে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে যে যোজন যোজন ফারাক তার প্রমান দেখলো আফগানরা। এর আগে বাংলাদেশকে ২০১৯ সালে ২২৪ রানে হারিয়েছিলো তারা। এবার তাদেরকে ওই রানের দ্বিগুণ ব্যবধানে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো টাইগাররা। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পেয়েছেন টানা দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত।

জয়ের জন্য ৬১৭ রানের টার্গেট ও ৮ উইকেট হাতে নিয়ে শনিবার চতুর্থ দিনে ব্যাটে নামে সফরকারীরা। কিন্তু টাইগারদের বোলিং তোপে অল্প রানেই থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।  আর ঐতিহাসিক জয় তুলে  নেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ইনজুরি থেকে ফিরেই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট শিকার করেন কৃতি পেসার তাসকিন আহমেদ। অন্যদিকে তিন উইকেট শিকার করেছেন অপর পেসার শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও মেহেদী মিরাজ এবং ইবাদত একটি করে উইকেট শিকার করেন।

চতুর্থ দিন দুই উইকেটে ৪৫ রানে চতুর্থ দিনে ব্যাটিংয়ে নামে আফগানিস্তান। শুরুতেই ইবাদতের বলে কট আউটের শিকার হন নাসির জামাল। এর পর পিচে টিকে থাকার চেষ্টা করেন আফসার জাজায়। তবে শরিফুলের বলে মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে সাঁজ ঘরে ফেরেন তিনি। কিন্তু অপর প্রান্ত আগলে রাখেন রহমত শাহ। তাকে সঙ্গ দিয়ে দুই অংকের ঘরে নামক লেখান আফগান অলরাউন্ডার কারিম জানাত। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৩০ রানে রহমত শাহ আউট হলে তার দেখানো পথে ১৮ রান করে ফেরেন কারিম। এরপর উইকেট হারানোর মিছিলে নামেন সফকারীরা। আমির হামজা (৫), ইয়ামিন (১) রানে আউট হন। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ এবং জহির খান আহত হয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পারেননি। ফলে ১১৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। বিপরীতে স্বাগতিকদের কাছ থেকে ৫৪৬ রানের লজ্জার হারের স্বাদ পায় সফরকারীরা। সম্পাদনা: এল আর বাদল